অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আনিসুর রহমান চূড়ামনকাটি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন।মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ওই তরুণী স্থানীয় এক লোকের বাইসাইকেলে চড়ে পাশের গ্রামের ওয়াজ মাহফিল থেকে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছিলেন। আবদুলপুর গ্রামের মোড়ে পৌঁছালে অনৈতিক কাজের অভিযোগ করে ইউপি সদস্য আনিসুর রহমানসহ কয়েকজন তাঁদের আটকে রেখে শত শত মানুষের সামনে জুতা ও লাঠি দিয়ে পেটান। খবর পেয়ে ওই তরুণীর মা–বাবা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শতাধিক মানুষের সামনে তরুণীকে জুতা দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাচ্ছেন ইউপি সদস্য আনিসুর রহমান। ওই তরুণী মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ইউপি সদস্যর পাশে থাকা কয়েক যুবক লাথি মারেন। অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগে তরুণীর সঙ্গে থাকা যুবককেও এলোপাতাড়ি মারধর করেন ইউপি সদস্য ও তাঁর সঙ্গে থাকা কয়েক যুবক।আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, ওই তরুণীর হাত ও পা ধরে রেখেছেন কয়েক যুবক। ইউপি সদস্যের অনুসারী আইয়ুব, ভুট্ট, আবদুল আলীমসহ তিন–চারজন লাঠি দিয়ে তরুণীকে হাত-পায়ের গোড়ালিতে বেধড়ক মারধর করছেন। ওই তরুণীর সঙ্গে থাকা যুবককেও নির্যাতন করতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার চূড়ামনকাটি ইউপির চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ইউপি সদস্য আনিসুর নির্যাতন করেছেন এটা ঠিক। তবে মেয়েটি ভালো না।’ এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, তরুণীর বাবা কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।