চট্টগ্রামের নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁর নাম মহিউদ্দিন। তিনি বিদেশে ফিরে যেতে করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন। সেই সূত্রে তাঁর দেশে ফেরার বিষয়টি জানতে পারে র্যাব। ১৮ বছর ধরে তিনি পলাতক ছিলেন। আজ রোববার তাঁকে নগরের পাঁচলাইশ সুগন্ধা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব–৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক গণমাধ্যম নুরুল আবসার প্রথম আলোকে বলেন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। মহিউদ্দিন দীর্ঘদিন দুবাইয়ে পলাতক ছিলেন। গত বছরের অক্টোবরে দেশে ফিরে আসেন। আবার দুবাই চলে যাওয়ার জন্যে করোনা পরীক্ষা করান মহিউদ্দিন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০১ সালের ১৬ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রামের জামাল খান রোডে অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীর বাসায় ঢুকে তাঁকে হত্যা করে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী উমা মুহুরী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০০৩ সালের জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে মামলাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। একই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আর মহিউদ্দিনসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। মৃত্যুদল্ডপ্রাপ্ত চারজনের একজন হাবীব খান ঘটনার পর থেকে পলাতক।
ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে ২০০৬ সালের জুলাই মাসে হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে এক আসামির আপিল ও দুই আসামির জেল আপিলের ওপর ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগে শুনানি শেষ হয়। আদালত তিন আসামিকে দণ্ডাদেশের পাশাপাশি জরিমানা করেন।