নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলামের বাসায় দোয়া মাহফিলে যোগ দিতে যাওয়া দলটির কয়েকজন নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। রোববার বেলা আড়াইটায় রাজধানীর শাহীনবাগ এলাকাএনপির নিখোঁজ নেতা সাজেদুল ইসলামের বাসায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন থেকে আটক হওয়া দলটির ১২ নেতা–কর্মীর মধ্যে ১১ জনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। তবে প্রায় আড়াই মাস আগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এক নেতাকে।
গ্রেপ্তার দেখানো ব্যক্তি হলেন ঢাকা মহানগর বিএনপির (উত্তর) যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তার হোসেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রোববার যে ১২ জনকে আটক করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ১১ জনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। আগস্ট মাসে চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায়ও তাঁদের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের। তিনি বলেন, তবে ওই ঘটনায় করা একটি মামলার এজাহারে বিএনপি নেতা আক্তারের নাম রয়েছে। তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক জালাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় আক্তারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। আদালত তা নাকচ করেন।বিএনপির নিখোঁজ নেতা সাজেদুল ইসলামের বাসা রাজধানীর তেজগাঁওয়ের শাহীনবাগে। তাঁর মা হাজেরা খাতুন গুম হওয়া ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করা সংগঠন ‘মায়ের ডাক’–এর আহ্বায়ক। বিভিন্ন সময় গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা মিলে এ সংগঠন গড়ে তুলেছেন।সাজেদুলের পরিবারের সদস্যরা বলেন, হাজেরা খাতুন দীর্ঘদিন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পর দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বিএনপির নেতা–কর্মীরা তাঁকে দেখতে এসেছিলেন। তখন সেখান থেকে পুলিশ ১৫ থেকে ২০ জনকে ধরে নিয়ে যায়।