জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেছেন, আওয়ামী লীগের অবস্থা হতাশাজনক, বিএনপি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছে। রাজনীতিতে তাদের অবস্থা খুবই হতাশাজনক।
রোববার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, বিজয় দিবস ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক প্রস্তুতিমূলক সভায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের চিত্র দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগের লোকেরাই আর নৌকায় ভোট দিতে চাচ্ছে না। দীর্ঘদিন যারা আওয়ামী লীগ করে আসছে, তারা এখন আর আওয়ামী লীগ করতে চাচ্ছেন না। আওয়ামী লীগ নেতারাই বলেছিলেন, ১৯৯৬ সালের নির্বাচন ছিলো আওয়ামী লীগের জন্য শেষ সুযোগ। জাতীয় পার্টির সমর্থন ছাড়া সেদিন ক্ষমতায় যেতে না পারলে আওয়ামী লীগ শেষ হয়ে যেত।’
বিএনপির সমালোচনায় তিনি বলেন, ‘বিএনপির অবস্থা আরও খারাপ। রাজনীতিতে তাদের অবস্থা খুবই হতাশাজনক। নেতৃত্ব নিয়েও বিএনপির নেতা-কর্মীরা হতাশাতাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। দেশের মানুষও বিএনপির ভবিষ্যত নিয়ে হতাশ। এদিকে মাত্র ১৩ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থেকে ইতোমধ্যেই বিএনপি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছে।’
জাতীয় পার্টির জনমনে আস্থা তৈরি করেছে দাবি করে জি এম কাদের বলেন, ‘দীর্ঘ ৩১ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থেকেও জাতীয় পার্টি রাজনীতির মাঠে টিকে আছে। জনগণের ভালোবাসা নিয়ে জাতীয় পার্টি দেশের মানুষের বুকে আস্থা সৃষ্টি করতে পেরেছে। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ আর বিএনপির পালাবদলের রাজনীতি দেখতে চায় না। দেশের মানুষ আগামী দিনে জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়।’
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশের মানুষের মধ্যে ‘বৈষম্য সৃষ্টি করেছে’ বলেও অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন তিনি।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘সংবিধানের মূলনীতির সমাজতন্ত্র একেবারেই নেই। সামাজিক ন্যায়বিচার, সবার সমঅধিকার ও সমতাভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি শেষ করেছে। সরকারি দল আর সাধারণ মানুষের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে দল দুটি। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংবিধানের মূলনীতির জাতীয়তাবাদ শেষ করেছে।’
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সেন্টুর সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। সভায় বক্তব্য রাখেন জাপার কেন্দ্রীয় নেতারা।