শপিংমল ও দোকানপাট আগামীকাল রোববার সকাল থেকে খুলে দেয়ার ঘোষণার পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ফলে লকডাউনের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ফেরি পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসির) টিকিট কাউন্টারে ব্যক্তিগত গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স চালকদের অপেক্ষমাণ থেকে টিকিট কিনতে হয়। সেখান থেকে ফেরিঘাটের র্যাম থেকে সংযোগ সড়ক পর্যন্ত ঘণ্টা খানেক অপেক্ষা করে ফেরিতে উঠে এসব যানবাহন। রাতে যশোর থেকে আসা প্রাইভেটকারের চালক সালাম সরদার বলেন, রোববার ঢাকাসহ দেশের সকল স্থানে দোকানপাট খুলে দেবে। সেই ঘোষণার কারণে স্যারকে নিয়ে ঢাকায় যেতে হচ্ছে। এখন থেকে ঈদ পর্যন্ত দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ভিড় লেগেই থাকবে।
পাংশা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়া যাত্রী সুমন রহমান বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট একটি ব্যস্ততম ফেরিঘাট। দেশের ২১ জেলার মানুষ এই নৌরুট ব্যবহার করে। লকডাউনের সময় তিনটি ফেরি চলাচলের সিদ্ধান্ত ভুল ছিলো। গাদাগাদি করে ফেরিতে করে নৌরুট পার হতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের উচিত ছিলো যাত্রীদের জন্য লঞ্চ চলাচলের ব্যবস্থা রাখা। সেটি হলে সামাজিক দূরত্ব কিছুটা মানা সম্ভব হতো। ফরিদপুর অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক মানুষ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। লকডাউন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তাদের বাড়িতে আসা ঠিক হয়নি। তবে পুলিশ সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য। বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়া ঘাট শাখার বাণিজ্য বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেন, শপিংমল খোলার ঘোষণায় দৌলতদিয়া প্রান্তে ঢাকা ফেরত যাত্রী ও ছোট ছোট যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে তিনটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করছি। যে কারণে ফেরিঘাট এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আজ (শনিবার) জানা যাবে এ রুটে কয়টি ফেরি চলাচল করবে।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, দৌলতদিয়া প্রান্ত দিয়ে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ রয়েছে। তারা গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য ঢাকায় যাচ্ছেন। মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের ফেরিতে যেতে দেয়া হচ্ছে।